চার হাত এক হওয়া পর্যন্ত ঠিকই আছে। কিন্তু গোলমাল বাঁধালো 'হানিমুন'। বিয়ের পর নবদম্পতির বেড়াতে যাওয়াকে এ শব্দ দিয়ে বর্ণনা করা হয়। কিন্তু বেড়ানো বললেই বা কী দোষ ছিল? নবদম্পতির বেড়ানোর মধ্যে এই হানি (মধু) আর মুন (চাঁদ) কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসলো তা নিয়ে গবেষণাও কম হয়নি।
তেমনই কয়েকটি ব্যাখ্যা এখানো আলোচনা করা হয়েছে। বলা হয়ে থাকে, 'হানিমুন' শব্দের উৎস ব্যাবিলনে। প্রাচীন ব্যাবিলনে বিয়ের পরে পাত্রীর বাবা পাত্রকে মধু দিয়ে তৈরি এক প্রকার মদ দিতেন। এই মদ থেকেই 'হানি' এসেছে। ব্যাবিলনের ক্যালেন্ডার ছিল চাঁদ। সেখান থেকে 'মুন' এসে থাকতে পারে বলে মনে করা হয়। কেউ কেউ বলেন, গোড়ায় নাকি ব্যাবিলনে বিয়ের পরের মাসটিকে 'হানি মান্থ' বলা হত। সেখান থেকে ক্রমশ 'হানিমুন'।
আর একটি ব্যাখ্যায় বলা হয়, বিয়ের পরে একমাস প্রতিদিন একপাত্র করে মধু দিয়ে তৈরি মদ খেতে হত নবদম্পতিকে। হুন রাজা অ্যাটিলার সময় থেকে এ প্রথা চালু ছিল। সেখান থেকেই...।
অপর ব্যাখ্যায় বলা হয়, 'মুন' শব্দটির সঙ্গে ঋতুচক্রের যোগ রয়েছে। বলা বাহুল্য, গোটা ব্যাখ্যাটির সঙ্গে যৌনতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এর সঙ্গে 'হানি' বা মধু জুড়ে দেয়া হয়েছিল এটা বোঝাতে যে, বিয়ের পর সব সময় কিন্তু একইরকম সুখের না-ও হতে পারে!
0 comments:
Post a Comment
Hello