যেদিকে চোখ যায়, শুধু মানুষ আর মানুষ। সবার প্রতীক্ষা কখন শুরু হবে মোনাজাত। বেলা ১১টা ১০ মিনিটে মোনাজাত ধরলেন ভারতের দিল্লির মাওলানা সা’দ। দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি কামনায় মহান আল্লাহর দরবারে হাত তুললেন লাখো মুসল্লি। ৩৩ মিনিটের মোনাজাতে একটু পরপর চারদিক থেকে ধ্বনিত হলো ‘আমিন’ ‘আমিন’।
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে গতকাল রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব।
মোনাজাতে অংশ নিতে গত বুধবার মধ্যরাত থেকে চার দিক থেকে লাখ লাখ মুসল্লি হেঁটেই ইজতেমাস্থলে পৌঁছান। গতকাল সকাল আটটার আগেই ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় মুসল্লিরা মাঠের আশপাশের রাস্তা, অলিগলিতে অবস্থান নেন। ইজতেমাস্থলে পৌঁছাতে না পেরে কয়েক লাখ মানুষ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ও আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়কে অবস্থান নেন। খবরের কাগজ, পাটি, সিমেন্টের বস্তা ও পলিথিন বিছিয়ে বসে পড়েন। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী বাসাবাড়ি, কলকারখানা, অফিস, দোকানের ছাদে, যানবাহনের ছাদে ও তুরাগ নদীতে নৌকায় মুসল্লিরা অবস্থান নেন।
আখেরি মোনাজাতের জন্য গতকাল মোনাজাতস্থলের আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানাসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে ছুটি ছিল। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা না করলেও কর্মকর্তাদের মোনাজাতে অংশ নিতে বাধা ছিল না।
গাজীপুর ও আশপাশের এলাকার ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষ যাঁরা ময়দানে এসে মোনাজাতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি, তাঁদের অনেকে টেলিভিশনের সামনে বসে ও মোবাইল ফোনে মোনাজাতে অংশ নেন। মোনাজাত শেষ হতেই যে যাঁর মতো গন্তব্যে রওনা দেন। এ সময় টঙ্গীর আশপাশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ জনজট ও যানজট। ট্রেনে, বাসে, ট্রাকে যে যেভাবে পারেন ছুটতে থাকেন বাড়ির পথে।
আয়োজক সূত্র জানিয়েছে, এ বছর ইজতেমায় বিশ্বের ৯৫টি দেশের মুসল্লিরা অংশ নেন। এদের মধ্যে ভারত থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক মুসল্লি আসেন। বিভিন্ন দেশে তাবলিগের কাজে বের হতে এবার ইজতেমাস্থলের দ্বিতীয় পর্বে প্রায় দুই হাজার জামাত তৈরি হয়েছে। এসব জামাতে কেউ কেউ তিন চিল্লা, এমনকি আজীবন চিল্লার জন্য প্রস্তুত হয়েছেন। এ ছাড়া অর্ধশতাধিকের মতো বিদেশি জামাত তৈরি হয়েছে। আগামী ১৫-২০ দিনে মধ্যে এসব জামাত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদ্দেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে সূত্র জানায়।
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে গতকাল রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ পর্ব।
মোনাজাতে অংশ নিতে গত বুধবার মধ্যরাত থেকে চার দিক থেকে লাখ লাখ মুসল্লি হেঁটেই ইজতেমাস্থলে পৌঁছান। গতকাল সকাল আটটার আগেই ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় মুসল্লিরা মাঠের আশপাশের রাস্তা, অলিগলিতে অবস্থান নেন। ইজতেমাস্থলে পৌঁছাতে না পেরে কয়েক লাখ মানুষ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ও আবদুল্লাহপুর-আশুলিয়া সড়কে অবস্থান নেন। খবরের কাগজ, পাটি, সিমেন্টের বস্তা ও পলিথিন বিছিয়ে বসে পড়েন। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী বাসাবাড়ি, কলকারখানা, অফিস, দোকানের ছাদে, যানবাহনের ছাদে ও তুরাগ নদীতে নৌকায় মুসল্লিরা অবস্থান নেন।
আখেরি মোনাজাতের জন্য গতকাল মোনাজাতস্থলের আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানাসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে ছুটি ছিল। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা না করলেও কর্মকর্তাদের মোনাজাতে অংশ নিতে বাধা ছিল না।
গাজীপুর ও আশপাশের এলাকার ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষ যাঁরা ময়দানে এসে মোনাজাতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি, তাঁদের অনেকে টেলিভিশনের সামনে বসে ও মোবাইল ফোনে মোনাজাতে অংশ নেন। মোনাজাত শেষ হতেই যে যাঁর মতো গন্তব্যে রওনা দেন। এ সময় টঙ্গীর আশপাশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ জনজট ও যানজট। ট্রেনে, বাসে, ট্রাকে যে যেভাবে পারেন ছুটতে থাকেন বাড়ির পথে।
আয়োজক সূত্র জানিয়েছে, এ বছর ইজতেমায় বিশ্বের ৯৫টি দেশের মুসল্লিরা অংশ নেন। এদের মধ্যে ভারত থেকে সর্বোচ্চসংখ্যক মুসল্লি আসেন। বিভিন্ন দেশে তাবলিগের কাজে বের হতে এবার ইজতেমাস্থলের দ্বিতীয় পর্বে প্রায় দুই হাজার জামাত তৈরি হয়েছে। এসব জামাতে কেউ কেউ তিন চিল্লা, এমনকি আজীবন চিল্লার জন্য প্রস্তুত হয়েছেন। এ ছাড়া অর্ধশতাধিকের মতো বিদেশি জামাত তৈরি হয়েছে। আগামী ১৫-২০ দিনে মধ্যে এসব জামাত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উদ্দেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে সূত্র জানায়।
আগামী বছরের ইজতেমা
আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হবে ১২ জানুয়ারি এবং শেষ হবে ১৪ জানুয়ারি। দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু হবে ১৯ জানুয়ারি এবং শেষ হবে ২১ জানুয়ারি। বিশ্ব ইজতেমার শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা গিয়াস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
0 comments:
Post a Comment
Hello