ABOUT AUTHOR

Sunday, January 1, 2017

ট্রাফিক আইন মানতে জরিমানা নয়, লাল গোলাপ (বিরামপুর (দিনাজপুর)

মাথায় নেই হেলমেট, অতিরিক্ত আরোহীসহ ট্রাফিক আইন মানারও বালাই নেই। পুলিশ এসব চালক ও যাত্রীকে ধরলও হাতেনাতে। তবে তাঁদের কাউকে কোনো জরিমানা নয়। উল্টো লাল গোলাপ দিয়ে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে এখন থেকে হেলমেট ব্যবহারসহ ট্রাফিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানাল। দিনাজপুরের বিরামপুর সার্কেলে নতুন যোগ দেওয়া সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হাফিজুর রহমান এই ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নেন।
আজ রোববার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বিরামপুর পৌর শহরের পল্লবী মোড়ে এ কার্যক্রম চলে। হঠাৎ করে পুলিশের এমন কার্যক্রমে মোটরসাইকেলচালক, আরোহী ও এলাকাবাসীও খুশি।
নিজের মেয়েকে স্কুল থেকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন মাছ ব্যবসায়ী মো. দুলু মিয়া। বাবা-মেয়ে কারোর মাথায় ছিল না হেলমেট। তাঁদের মোটরসাইকেল থামিয়ে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার শাস্তি এবং হেলমেট না থাকায় দুর্ঘটনার কুফল তুলে ধরেন এএসপি হাফিজুর রহমান। এরপর এখন থেকে হেলমেট ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দেন দুলু মিয়া। তাঁকে ফুল দিয়ে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান হাফিজুর রহমান।
এক মোটরসাইকেলে তিনজন উঠিয়ে হিলি যাচ্ছিলেন ফুলবাড়ীর আমজাদ হোসেন। কারোর মাথায় ছিল না হেলমেট। তাঁদেরও মোটরসাইকেল থামিয়ে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার শাস্তি এবং হেলমেট না থাকায় দুর্ঘটনার কুফল তুলে ধরেন এএসপি হাফিজুর রহমান। এরপর এখন থেকে হেলমেট ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দেন চালক আমজাদ হোসেনসহ আরোহী দুজন।
এদিকে পুলিশের এ ধরনের ব্যতিক্রমী উদ্যোগে খুশি মোটরসাইকেলচালক ও এলাকাবাসী। পৌর শহরের ঈদগাহ মাঠের বাসিন্দা কাপড় ব্যবসায়ী মো. মোস্তাক বলেন, পুলিশের প্রতি মানুষের ধারণা সব সময় একটু নেতিবাচক থাকে। ভালোবেসে ভুল ধরে দিয়েও মানুষকে সচেতন করা ও আইন মানতে যে বাধ্য করা যায়, সেটি করে দেখালেন এএসপি হাফিজুর রহমান।
এএসপি হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি গত ২০ ডিসেম্বর বিরামপুরে যোগদান করেছেন। যোগদান করার পর এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে লক্ষ করেছেন, এ এলাকার মানুষ ট্রাফিক আইনের প্রতি বেশ উদাসীন। তবে এ এলাকার মানুষ শান্তশিষ্ট। শুধু সচেতনতার অভাবে তাঁরা ট্রাফিক আইন মানেন না। তাই নতুন বছরে মানুষকে সচেতন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশের কার্যক্রমে পরিবর্তনের বার্তাও দিয়েছেন।

সাংসদ হত্যায় প্রতিবাদমুখর সুন্দরগঞ্জ

গাইবান্ধা-নলডাঙ্গা-বামনডাঙ্গা সড়কের সাহাবাজ গ্রামের লিটন মোড়ে রাস্তার ওপর গা​ছ ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করেন নিহত সাংসদের কর্মী-সমর্থকেরা।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাহাবাজ গ্রামের মাস্টারপাড়ায় সাংসদ মনজুরুল ইসলামের বাড়ি।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা বাজারে ব্যবসায়ীরা দোকানে কালো পতাকা টানিয়ে রেখে সাংসদ হত্যার প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সাংসদ মনজুরুল ইসলামের বাড়িতে পুলিশের প্রহরা।

গাইবান্ধা-নলডাঙ্গা-বামনডাঙ্গা সড়কের সাহাবাজ গ্রামের লিটন মোড়ে রাস্তার ওপর গা​ছ ফেলে ও আগুন ধরিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন নিহত সাংসদের কর্মী-সমর্থকেরা।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন নিহত সাংসদের কর্মী-সমর্থকেরা।
ছবিগুলো তুলেছেন : সোয়েল রানা






গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকারদলীয় সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আজ রোববার সকাল থেকে হরতাল চলছে। বামনডাঙা স্টেশনে একটি ট্রেন আটকে রাখে নিহত সাংসদের কর্মী-সমর্থকেরা। সুন্দরগঞ্জের বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। 

0 comments:

Post a Comment

Hello